ডানপিঠে সজিব আর তার বন্ধূদের ভয়

ডানপিঠে সজিব আর তার বন্ধূদের ভয়


রাত তখন ১০ টা কি ১১টা ।

গ্রামের অঞ্চলে সাধারণত এশার নামাযের পর দোকান পাঠ বন্ধ হতে থাকে। কখনো কখনো চাঁদের আলো না থাকলে সন্ধার পর প্রায় সবগুলো রাস্তাই হয়ে উঠে ভূতুড়ে। ইলেকট্রিসিটির কথা তো বাদই দিলাম। কারো কারো ঘরে লাইট জ্বলে যদি থাকে ইলেকট্রিসিটি মশাই আবার কারো কারো ঘরে না ।

ডানপিঠে সজিব আজ একটু রাত করেই বাড়ি ফিরবে। বিকেল থেকে আড্ডা জমিয়েছে বড় পুকুর পাড়ে। তার বন্ধুগুলোও যা তা লেভেলের। গ্রামে যদিও ভূত জ্বীনের উপদ্রব খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তাই বলে ভূত জ্বীনের রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বসবে এমন লোক গ্রামে যে কয়েকটা আছে তাদের সবগুলোই সজিবের সাথে বেশ ভালো মেলামেশা। যেখানে রাতে মানুষ যাওয়ার কথা মনে করতেও ভয় পেতো, সেখানে তারা আড্ডা জমাতো রাতের বেলায়।

এক রাতের বেলা সজিব আর তার বন্ধুরা আড্ডা জমিয়েছে মন্দিরের পাশের পুকুর পাড়ে। মন্দিরটাও যুদ্ধের আগের। এখন অবশ্য অবহেলায় পড়ে আছে। দূর থেকে দেখলেই গা ছমছম করে উঠে। চুন সুরকি আর ইটের দেওয়াল, দোতালা একটা মন্দির আর তার উপর রয়েছে সউচ্চ মিনার। এ মিনারটার মাথাটা ভাঙ্গা। আশেপাশে তো খুব বড় কোন গাছপালা ছিলোনা কখনো যে ডাল পড়ে ভাংবে। কেউ কেউ বলে আমাবর্ষার রাতে এ মন্দিরে কাউকে আলো জ্বালাতে দেখেছে। তবে বছরের অন্যান্য সময় কখনোই কিছু দেখা যায়নি। অনেকেই বলে আমাবশ্যার রাতে কালোচাদু করার জন্য হয়তো এগুলো করে থাকে। কথাটা ফেলে দে্ওয়ার অবকাশও রাখেনা । কারণ আমাবশ্যার রাতের পর মন্দিরের সিড়ির পাশে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ, দেওয়ালে বিভিন্ন নকশা আাঁকা দেখছে যেগুলা প্যারনরমাল শক্তিগুলোকে ব্যাবহার করার নকশার মতোই দেখায়। তাছাড়া মন্দিরের একটা সুড়ঙ্গ আছে সিড়ির ঠিক নিচে, এতটা অন্ধকার জায়গাটা দিনের বেলায়ও দেখা যায়না কিছূ। কথিত আছে এই সুড়ঙ্গ দিয়ে দেখার জন্যে গ্রামের কোন একজন সাহসী লোক ঢুকেছিলো আর বের হয়ে আসতে পারেনি। পরদিন তার লাশ পাওয়া গিয়েছিলো পাশের পুকুরে। তখন থেকেই একটা ভয়ের কারণ হয়ে উঠে এই মন্দির ।

আজ সেই পুকুর পাড়েই আড্ডা জমিয়েছে সজিব কয়েকটা বন্ধু নিয়ে........

পরবর্তী অংশ এর পর আপলোড করবো
ভালো লাগলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেননা।